সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শহীদি মার্চে ছাত্র-জনতার ঢল, দেশ গড়ার শপথ

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪

শহীদি মার্চে ছাত্র-জনতার ঢল, দেশ গড়ার শপথ
বিশেষ সংবাদদাতা 
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের এক মাস পূর্তি ও নিহতদের স্মরণে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শহীদি মার্চ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বেলা আড়াইটা থেকে ঢাবিসহ রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এতে ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি, মাদরাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীর পাশাপাশি নানা শ্রেণী-পেশার লক্ষাধিক মানুষের ঢল নামে। রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হওয়া শহীদি মার্চ নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব, কলাবাগান হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ, সংসদ ভবন বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, বাংলামোটর শাহবাগ, আবার রাজু ভাস্কর্য ও জাতীয় শহিদ মিনারে এসে শেষ হয়।


শহীদি মার্চ চলাকালীন ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’; শহীদদের স্মরণে, ভয় করি না মরণে ; শহীদদের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না ; আমার ভাই কবরে, খুনি কেন ভারতে ; সরকার কী করে, হাসিনা ভারতে ; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়; ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলের স্লোগানে দেশ গড়ার শপথ নেন। ছাত্র-জনতা ওই মার্চে অংশগ্রহণকারীদের হাতে জাতীয় পতাকা, জুলাই-আগস্ট এর নানা ঘটনার দৃশ্য সংবলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড দেখা যায় ।
শহীদি মার্চে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। দাবিগুলো হলো : ১) গণহত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে, ২) শহীদ পরিবারদের আর্থিক ও আইনি সহযোগিতা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান করতে হবে, ৩) প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টদের দোসরদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে, ৪) গণভবনকে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর ঘোষণা করতে হবে, ৫) রাষ্ট্র পুনর্গঠনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে।
মার্চ শুরুর আগে রাজু ভাস্কর্যে সমন্বয়করা বলেন, ঠিক এক মাস আগে আমরা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে দ্বিতীয় বার ‘স্বাধীন’ বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। এই স্বাধীনতার বিনিময়ে আমাদের হাজারো ছাত্র-জনতাকে জীবন দিতে হয়েছিল। হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা আহত হন। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেন, অনেকে এখনো হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমরা সেসব শহীদকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি আমাদের স্বাধীন দেশ উপহার দেয়ার জন্য। তারা বলেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করতে পাঁয়তারা করে যাচ্ছেন। ভারতও আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। আমরা ভারতকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলতে চাই, আপনারা যদি আমাদের দেশের আরেকজন মানুষ হত্যা করেন তাহলে ছাত্র-জনতা আপনাদের কাছ থেকে এর হিসাব নেবে।


মার্চ শেষে শহীদ মিনারে সমাপনী বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের ভাইয়েরা স্বাধীনতা আনতে রক্ত দিয়েছেন। তাদের রক্তের মূল্য দিতে আমরা যেকোনো সময় রক্ত দিতে প্রস্তুত আছি।’
তিনি বলেন, এই আন্দোলনের শহীদদের রক্ত এবং তাদের স্পিরিট কখনো বৃথা যেতে দেবো না। দেশে এখনো অনেক ফ্যাসিস্টের অস্তিত্ব আছে। আমরা তাদের এবং ফ্যাসিবাদী চিন্তা লালন করা মানুষদের বলতে চাই, স্বাধীন বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট আচরণ করার চেষ্টা করবেন না। কোনো চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেট এই বাংলাদেশে হবে না।
আরেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য এই আন্দোলনে আমাদের ভাইয়েরা শহীদ হয়েছেন। দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না এমন স্বপ্ন নিয়ে, তারা নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা আমাদের রক্তের সাথে বেঈমানি করি নাই। আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। দেশকে পুনর্গঠনের যে লড়াই সেটি আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।
এর আগে, গত জুলাইয়ের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন দমনে ছাত্রলীগসহ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা-নির্যাতনের এক পর্যায়ে তা সরকারের পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে যান। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। মূলত স্বৈরাচার সরকারের পতন ও জুলাই বিপ্লবে নিহতদের স্মরণে গত বুধবার শহীদি মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল নগরীর তালাইমারিতে ও সাহেববাজারে এই শহীদি মার্চ পালন করা হয়। এতে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা অংশ নেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহীর আয়োজনে এই শহীদি মার্চ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এসময় জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে কবিতা, গান ও স্মৃতিচারণমূলক অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হয়।


চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির এক মাস পূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর ষোলশহর রেল স্টেশনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন ছাত্র-জনতা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেলা সাড়ে ৩টার পর ষোলশহর স্টেশন চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে বহদ্দারহাট এলাকা ঘুরে মুরাদপুর এলাকায় গিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগানে প্রকম্পিত হয় ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
শেরপুর প্রতিনিধি জানান, শেরপুরে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে শহীদি মার্চ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেরপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এ উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চকবাজারস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো: আব্দুর রশীদ, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সঞ্জয় বণিক প্রমুখ।
পিরোজপুরে শহীদি মার্চ
পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, পিরোজপুরে গতকাল বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদি মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরের পুরনো বাসস্ট্যান্ড মোড়ের বৈষম্যবিরোধী চত্বর থেকে শহীদি মার্চ শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময়ে বক্তব্য দেন ছাত্র সমন্বয়ক মো: মুসাব্বির মাহমুদ সানি ও শাহরিয়ার আমীন সাগর, রেদওয়ানুল ইসলাম, আসমা আক্তার মিতু, লুলু আল মারজান প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, চুয়াডাঙ্গাতে শহীদদের স্মরণে শহীদি মার্চ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে শুরু করে মার্চটি কোটমোড় দোয়েল চত্বর ঘুরে বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরে এসে শেষ হয়। এ সময় ছাত্রজনতার উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন জেলার অন্যতম সমন্বয়ক রনি বিশ্বাস, তামান্না বিশ্বাস প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সজীব আহমেদ।


বাকৃবি প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শহীদদের স্মরণে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একযোগে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। বেলা ৩টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আব্দুল জব্বার মোড়ে এসে জড়ো হন এবং মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি দেবদারু সড়ক হয়ে শহীদ মিনারের সামনে যায়। পরে শহীদ মিনার থেকে সম্মিলিত মিছিলটি কে. আর. মার্কেট ঘুরে আবার শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে শহীদ মিনার চত্বরে শহীদদের স্মরণে দোয়া করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার, দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ ও কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন, প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা এবং প্রায় শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী।
নাটোর প্রতিনিধি জানান, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে নাটোরে শহীদি মার্চ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে নাটোর নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজ চত্বর থেকে মার্চ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। মার্চটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজের শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশ করে। এ সময় বক্তারা বলেন, অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। অনেকেই এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের বিপক্ষে ছিলেন, তারা যেন আমাদের সাথে মিশে বিশৃংখলা করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। শহীদি মার্চে উপস্থিত ছিলেন, কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জহিরুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ আব্দুল বারী মির্জা, সমন্বয়ক শেখ ওবায়দুল্লাহসহ শিক্ষার্থীরা।
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজে শহীদি মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজ প্রাঙ্গণের পতাকা চত্বর থেকে এ মার্চ শুরু হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন ও তাদের স্মৃতিচারণ করেন। শহীদি মার্চে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
ঝালকাঠিতে ‘শহীদী মার্চ’ অনুষ্ঠিত
ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণ-অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্ণ হওয়ায় শহীদদের স্মরণে ঝালকাঠিতে শহীদী মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝালকাঠি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে থেকে এ মার্চ শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের এসে সমাবেশ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন ও তাদের স্মৃতিচারণ করেন। এ দিকে কাঠালিয়া টিএনটি অফিসের সামনে থেকে র‌্যালি বের করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পরে তারা উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের এসে সমাবেশ করেন। এ সময় আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, শহীদদের স্মরণে কুষ্টিয়ায় স্থানীয় সাদ্দাম বাজার মোড় থেকে মার্চ শুরু হয়ে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক দিয়ে মজমপুর গেট হয়ে শহরের শাপলা চত্বরে এসে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা সমন্বয়কারী তৌকির আহমেদ, সমন্বয়ক মোস্তাজিুর রহমান, সমন্বয়ক আবরার আহমেদ, সমন্বয়ক রাজিবুল ইসলাম, সমন্বয়ক লাবনী আক্তার, সমন্বয়ক আব্দুর রহমান খান, সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ, শহীদ শাহিনের পিতা, শহীদ ওসামার পিতা, শহীদ ইউসুফ শেখের মেয়ে, শহীদ বাবলু ফারাজীর ছেলে, শহীদ আব্দুল্লাহের পিতা, শহীদ ওমরের পিতা, শহীদ মারুফের ভাই।
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে গতকাল শহীদী মার্চ কর্মসূচি শুরু হয়ে শহরের পাহাড়পুস্থ শহীদ রুদ্র চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, দিনাজপুর জেলা শাখার সমন্বয়ক একরামুল হক আবিরের নেতৃত্বে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে নিহত শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ, রাহুল, রুদ্রসেনসহ পুলিশের গুলিতে নিহত সব শহীদের মাগফেরাত কামনা করা হয়। পরে সন্ধ্যায় দিনাজপুর সরকারি কলেজে দ্রোহের গান ও কাওয়ালী সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর প্রতিনিধি জানান, মেহেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ‘শহীদী মার্চ’ পালিত হয়েছে। মিছিলটি শহরের শহীদ শামসুজ্জোহা পার্ক থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে থেকে আন্দোলনে ছাত্রদের হত্যকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি ও যারা আহত রয়েছেন তাদের সুচিকৎসার দাবি জানানো হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী তামিম, সিয়াম, জাঈম, শীতল, ফারদিন, কৌশিক, অয়ন, জাবির, আশিক, এস এম প্লাবন, জাইম আল হাসানসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
খাগড়াছড়িতে শহীদী মার্চ অনুষ্ঠিত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী সাড়া দেশের ন্যায় খাগড়াছড়ি সদরসহ মানিকছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘শহীদী মার্চ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চেঙ্গি স্কয়ার, কোর্ট এরিয়াসহ শহরের প্রধন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্ত মঞ্চে এসে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। শহীদী মার্চে বিভিন্ন স্কুল কলেজে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
0 Comments